আজ || শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


সাতক্ষীরায় অপহৃত মেয়ে এবং শিশু নাতীকে উদ্ধারের দাবিতে অসহায় বাবা’র সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার কলারোয়ার চিহ্নিত লম্পট কানা বাদলের কবল থেকে মেয়ে এবং শিশু নাতীকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগি অসহায় বাবা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গাজনা গ্রামের আব্দুল কাদের মোড়লের ছেলে মোঃ কালাম মোড়ল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে কে কলারোয়ার যুগীখালী গ্রামের মৃত. শামছুর গাজীর ছেলে রাজী গাজীর সাথে বিয়ে দেই। তাদের ৫ মাসের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। জামাইয়ের ঘরে আমার মেয়ে সুখেই ছিলো। কিন্তু আমার মেয়ের উপর কুনজর পড়ে পরাণপুর গ্রামের মৃত. সিদ্দিক সরদারের ছেলে লম্পট মোক্তারুল ইসলাম ওরফে কানা বাদলের। জামাইয়ের বন্ধু হওয়ায় বাদল প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো এবং গোপনে আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিতো। রাজি না হওয়ায় সে আমার মেয়েকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তার স্বামী ও শিশু ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে আমার মেয়েকে তার প্রেমে রাজি হতে বাধ্য করে। গত ৮ জুন শিশু ছেলেকে নিয়ে আমার মেয়ে আমাদের বাড়ি হতে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পথে লম্পট বাদল তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও বাদলের কবল থেকে আমার মেয়ে ও শিশু নাতীকে উদ্ধার করতে পারিনি। এদিকে গোপনে খবর পেয়েছি বাদল আমার মেয়ে ও শিশু নাতীর উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদেরকে উদ্ধার করতে না পারলে আমার শিশু নাতী মারা যেতে পারে।

কালাম মোড়ল আরো বলেন, মাত্র ৫ মাসের শিশু সন্তানকে হারিয়ে আমার জামাতা এবং তার পরিবারের সদস্যরা পাগলের মত হয়ে পড়েছে। লম্পট বাদল এতটাই জঘণ্য যে মাত্র ৫ মাসের শিশুকে জিম্মি করে নির্যাতন চালিয়ে তার স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। লম্পট বাদল ইতিপূর্বেও একাধিক নারীকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সংসার ভেঙ্গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাদলের প্রথম স্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু বাদলনিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার কারণে তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
তিনি ওই লম্পট বাদলের কবল থেকে তার একমাত্র মেয়ে এবং তার শিশু ছেলেকে উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


Top